কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন ঢাকাস্থ বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা। ১৪টি দূতাবাসের যৌথ চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে সেগুনবাগিচায় পাঠানো এই চিঠিতে চলমান সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার এবং নতুন করে প্রাণহানি এড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত বুধবার চিঠিটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছেছে। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া এবং ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ঢাকাস্থ প্রতিনিধিরা। চিঠিতে সংকট সমাধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, আটক ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার রক্ষা এবং দ্রুত সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২১ জুলাই ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
কূটনীতিকরা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার রক্ষা জরুরি। প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সমাবেশের অধিকারসহ সর্বজনীন মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সব নাগরিকের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি চালু না হওয়ায় দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে এবং বাংলাদেশের বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।